নোয়াখালীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিকের মৃত্যু
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির মারা গেছেন। শনিবার রাত পৌনে ১১ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।শুক্রবার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাটে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে আনা হয়। পরে সেখানেই রাতে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা।
মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, নিহতের শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মৃত্যু হয়েছে।
নিহত সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল বার্তা বাজারের উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টায় তার সমর্থকদের চাপরাশিরহাট দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলেন। কিন্তু তার আগে চরফকিরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন লিটনের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা ওই কার্যালয়ে এসে উপস্থিত হন। নির্ধারিত সময়ে বাদলের সমর্থকরা দলীয় কার্যালয়ে আসলে লিটনের সমর্থকদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন বার্তা বাজারের প্রতিনিধি বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির।
ওই সংঘর্ষের পর নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে তার নেতা-কর্মীদের ওপর চাপরাশিরহাট বাজারে হামলা হয়েছে বলে দাবি করেন পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।