এস.এম.জয়,বগুড়া :বগুড়ার ধুনট উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নিমগাছি , চিকাসি-সহ সব ইউনিয়নে এই অনিয়ম হচ্ছে বলে জানা যায়। ডিলার ও বেপারী ভোক্তাদের কাছ থেকে চাল কিনে কালোবাজারে বিক্রয় করছেন। এই চাল দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ হলেও, অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে প্রকৃত উপকারভোগীরা বাধ্য হয়ে চাল বিক্রয় করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগী প্রায় ৮৫ % কার্ডধারী ভোক্তার বলেন মোটা ,লাল চাল নিম্নমানের কারণে খেতে পারেন না বা আগ্রহ দেখান না। ফলে ডিলার ও বেপারী তাদের কাছ থেকে কম দামে চাল কিনে নিয়ে তা কালোবাজারে চড়া দামে বিক্রয় করে মুনাফা লুটছেন।
এ-বিষয়ে চ্যানেল ২১, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও জাতীয় দৈনিক ঘোষণার সাংবাদিকরা সম্প্রতি কালোবাজারির এক (অটো ভ্যান) থ্রি-হুইলার্স দিয়ে চাল পাচার হওয়ার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলেন। চালসহ গাড়িটি ধরার পর স্থানীয় বিএনপি মহল থেকে চাপ আসে এবং সাংবাদিকদের বলা হয়, সাংবাদিক, পুলিশ, খাদ্য বিভাগ সবই তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আপনারা আমাদের কিছুই করতে পারবে না।
এই ঘটনা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে অনিয়মের গভীরে রাজনৈতিক প্রভাবের দিকে ইঙ্গিত করে। খাদ্য প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রশাসন এ- বিষয়ে অবগত থেকেও রহস্যজনকভাবে নীরবতা পালন করছে।
ভোক্তারা কার্ড বাতিলের ভয়ে তথ্য দিতে ভয় পাচ্ছেন, যার ফলে সাংবাদিকরাও এই অনিয়মের গভীরে পৌঁছাতে পারছেন না।
এ – বিষয়ে জানতে চাইলে ধুনট উপজেলা এরিয়া খাদ্য পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম বলেন অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে অবগত আছেন বলে জানান। তিনি বলেন, “আমরা নিয়মিত তদারকি করছি, এবং এমন কোনো অভিযোগ বা প্রমাণ পেলে ডিলারদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও জানান, এই পরিস্থিতিতে ডিলার ও বেপারী সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে চাল কিনে কালোবাজারে বিক্রি করে দেয় এবং অচিরেই এই অনিয়ম বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্থানীয় প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে এই অনিয়ম বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

