জঙ্গি তৎপরতা: আবার নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহে সিএমপি
চট্টগ্রাম: জঙ্গি হামলার হুমকি অনুভব করায় নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম চাঙা করতে আবার মাঠে নেমেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)।
রোববার থেকে বিশেষ এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১৬টি থানার পুলিশ সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে একটি ফরম দিয়ে আসছেন। পূরণ করা ফরমটি পরে নির্ধারিত সময়ে সংগ্রহ করে থানায় নিয়ে তথ্যভাণ্ডারে যুক্ত করা হবে।
সোমবার বিকেলে কোতোয়ালী থানার ১০ নং বিট পুলিশিং উঠান বৈঠকে গিয়ে নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) শ্যামল কুমার নাথ বলেন, বাড়িওয়ালাদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা ভাড়াটিয়াদের কোন অস্বাভাবিকতা দেখলে সেটা আমাদেরকে জানাবেন। নাগরিক তথ্য ফরমের মাধ্যমে ভাড়াটিয়ার তথ্য সংগ্রহ করার পর আমরা বলতে পারবো, কে ভালো, কে খারাপ। খারাপ মানুষ হলে তখন তাড়িয়ে দিতে পারবেন।

তিনি আরো বলেন, আপনারা বাসা ভাড়া দিচ্ছেন আর্থিক সচ্ছলতার জন্য, সবাইকে নিয়ে সুখে-শান্তিতে থাকার জন্য। কারো মৃত্যু কামনা করার জন্য বাসা ভাড়া দিচ্ছেন না। এখন সেই বাসা ভাড়া দেয়া যেন অভিশাপের মত না হয়, অন্যান্য ভাড়াটিয়া যারা আছে তাদের জন্য অভিশাপের মত যাতে না হয়, কোন দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে। সেজন্য আপনারা সহযোগিতা করবেন। এ সময় কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ইদানিং আমরা আবার সেই জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের হুমকি অনুভব করছি। এই প্রেক্ষাপটেই নাগরিক পরিচিত ফরম পূরণ আবার শুরু হয়েছে। নাগরিক পরিচিত ফরম পূরণের বিষয়টি পুরো নগরে আমরা আন্দোলনের মত গড়ে তুলতে চাচ্ছি। আপনারা নাগরিক পরিচিত ফরম পূরণ করে জমা দিয়ে যান। আমরা কথা দিচ্ছি, আপনাদের নিরাপদ রাখবো।
এদিকে কোতোয়ালী থানাধীন চেরাগি পাহাড় মোড় ও খলিফাপট্টি এলাকায়ও নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহে উঠান বৈঠক ও পথসভা করে পুলিশ। এ সময় নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) শ্যামল কুমার নাথ উপস্থিত মানুষের হাতে নাগরিক পরিচিত ফরম তুলে দেন।
অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মুহাম্মদ আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ-প্রশাসন) পঙ্কজ বড়ুয়া, কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা, চকবাজার জোনের সহকারী কমিশনার মুহাম্মদ রাইসুল ইসলাম ও কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের ষোলশহর দুই নম্বর গেট মোড়ে পুলিশ বক্সে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পুলিশসহ মোট পাঁচজন আহত হন, যাদের মধ্যে ১০ বছরের একটি শিশুও রয়েছে। উক্ত ঘটনায় জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস দায় স্বীকার করেছে বলে শনিবার জানিয়েছে সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ। এখনো এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।