চট্টগ্রামে মেসেজ মিললেই মিলবে টিকা
চট্টগ্রামে করোনা টিকার জন্য শুধু নিবন্ধন করলেই চলবে না, পেতে হবে এসএমএস, তাহলেই মিলবে টিকা। যারা নিবন্ধন করেছেন, তারা নির্দিষ্ট সময়ে টিকা পাবেন। টিকা কেন্দ্রে অযথা ভিড় না করতে বলেছেন সংশ্লিষ্টরা।শুরুতে টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করাও গেলে মাঝখানে কিছুদিন বন্ধ থাকে নিবন্ধন। আবার চালু হয়। তাতেই মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। প্রতিদিন বাড়ছে টিকা গ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা। শুরুতে কিছুটা ভীতি থাকলেও এখন মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে টিকাগ্রহণ। চট্টগ্রামে টিকা প্রদানের প্রথমদিন থেকে রেজিস্ট্রেশন করলেই মিলেছে টিকা। যে কোনো কেন্দ্রে মানুষ টিকা নিতে পেরেছে। তবে টিকাকেন্দ্রে ভিড় বাড়ায় সে সুযোগ আর থাকছে না।
মহানগর নিউজের সাথে এক আলাপে জেলা সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, যারা এসএমএস না পেয়ে আসবে, তাদের টিকা দেওয়া হবে না। আমরা বারবার বলছি, এসএমএস না পাওয়ার আগে কেউ টিকা কেন্দ্রে আসবেন না। তিনি আরও বলেন, মোবাইলে এসএমএস না দেখে টিকা কেন্দ্রে চলে আসছেন অনেকে। এক কেন্দ্রের ব্যক্তি অন্য কেন্দ্রে যাচ্ছে, ফলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে।
সরেজমিনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায় টিকা নিতে ভিড় জমাচ্ছেন অসংখ্যা মানুষ। টিকা নিতে আসা বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তারা জানান, রেজিস্ট্রেশন করার পরও তারা টিকা নিতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। আনোয়ার নামের এক ব্যক্তি বলেন, টিকা দেওয়ার সময় হল ৩টা পর্যন্ত। কিন্তু ১টা বাজে টিকা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা লাইনে কষ্ট করে দাঁড়িয়ে টিকা পাইনি। সাব্বির নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘১১টায় টিকা নিতে এসেছি, এখন বলছে ভ্যাকসিন শেষ। আমাদের যদি আগে বলতো, তাহলে আমরা চলে যেতাম।’
সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, যারা রেজিস্ট্রেশন করেছেন, সবাই এসএমএস পাবেন। ওখানে আপনার টিকা কেন্দ্রের নাম এবং তারিখ থাকবে সেদিনই আপনারা ওই কেন্দ্রে টিকা নিতে আসুন। নির্ধারিত দিনে সবাই টিকা পাবেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্বিঘ্নে কাজ করার সুযোগ দিন।
বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, আগে যেসব জায়গায় ভিড় কম ছিল, সেখানে এখন আগ্রহী মানুষের উপস্থিতি অনেক বেশি। মোবাইলে এসএমএস ছাড়াও অনেক এসেছেন টিকা নিতে। টিকা ফুরিয়ে যাওয়ার খবরে অনেকে ভিড় করছেন টিকা কেন্দ্রে। ভিড় বাড়ায় সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা যাচ্ছে না।
নগরীর লোকসংখ্যা অনুসারে এবং টিকা নিতে লোকজনের মধ্যে আগ্রহ বাড়ায় নগরের বিভিন্ন প্রান্তে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধাসহ আরো টিকাদান কেন্দ্র খোলা উচিত। বুথ আরো বাড়ানো হলে, বিশৃঙ্খলা কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
করোনারোধে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার এ কর্মসূচির ১৪তম দিনে বিভিন্ন কেন্দ্রে উপচেপড়া ভিড় ছিল। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে এদিন চট্টগ্রামে ১ লাখ ৭৫ হাজার ১১৫ জন টিকা নিয়েছেন। এর মধ্যে ৮৭ হাজার ৪৬৪ জন উপজেলায় ও ৮৭ হাজার ৬৫১ জন সিটি করপোরেশন এলাকায়। এছাড়া এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৭৬ হাজার ৪৪১ জন টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন।