কিশোরগঞ্জে অবৈধ স’মিলের ছড়াছড়ি সরকার হারাচ্ছে রাজত্ব, কর্তৃপক্ষ নিরব।
রাজু আহম্মেদ( নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি): নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় সরকারের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে অবৈধ স’মিল। লাইন্সেস না থাকায় করাতকল মালিকরা গাছ কেনাবেচার ক্ষেত্রে কোন বিধিনিষেধ মানছে না। অবাধে কিনছেন গাছ। ফলে একদিকে যেমন বেড়েই চলেছে অবাধে বৃক্ষ নিধন। অন্য দিকে প্রতিনিয়ত হুমকির সস্মুখীন হচ্ছে পরিবেশ। আবার কোন কোন এলাকায় কিছু অসাধু করাতকল মালিকরা সরকারের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি গড়ে তুলেছেন স’ মিল।
যার ফলে প্রতিনিয়িত শব্দ ও পরিবেশ দূষণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে একাধিক স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। বছরের পর বছর ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব স’ মিল চললেও প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রশাসনের বিনা অনুমতিতে সরকারের আইন-কানুন বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, কি ভাবে চলছে ,এই সব স’মিল তা নিযে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। এতে ক্ষতি হচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্যের। অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে বড় অংকের রাজস্ব। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজার ও মহলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক স’মিল (করাতকল)। এর মধ্যে মাত্র ৫/৬ টি স’মিলের নামে মাত্র কাগজ জমা দিয়েছেন। এখনো তাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়নি।
কিন্তু তারপরও অবাধে চলছে স’মিলের কার্যক্রম। সৈয়দপুর সামাজিক নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.শাহিকুল ইসলাম মুজকুরী এর সাথে কথা হলে তিনি এবিষয়ে বক্তব্য দিতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ডিসি স্যারের নির্দেশ কারও কাছে বক্তব্য না দেওয়ার। এব্যাপারে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রোকসানা বেগম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, লাইসেন্স বিহীন কোনো স’মিল চলতে পারে না। আমরা লকডাউনের কারণে এখন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারতেছি না। লকডাউন শেষ হলে অবশ্যই ধরা হবে।