আগস্টের চেয়ে সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু রোগী বেশি

Share the post

রাজধানীর বাইরে আগস্টের তুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে সেপ্টেম্বরে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য জানান দিচ্ছে, চলতি মাসের ২৯ দিনে এইডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭ হাজার ৮৪১ জন, যা এ বছরে মাসের হিসাবে সর্বাধিক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯০ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে গত এক দিনে কারও মৃত্যু হয়নি।
সব সময় সীমা শেষ। অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে এডিস নিধন অভিযান। কীটতত্ত্ববিদেরা বলছেন, এডিস নিধনে কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে সরকারি হিসেবেই বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। এভাবে চললে অক্টোবরেও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পুরো সেপ্টেম্বর জুড়েই দিনে রোগীর সংখ্যা ছিল দুই শতাধিক। মোট আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ৮৪১ জন। মারা গেছে, ২১ জন। তবে, চিকিৎসকরা বলছেন, রাজধানীতে পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও রোগী বেড়েছে ঢাকার বাইরে।

এর আগে গত অগাস্ট মাসে ৭ হাজার ৬৯৮ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আর ৩৪ জনের প্রাণ গেছে এই রোগে।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছে ৯৬০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৫৬ জন এবং ঢাকার বাইরে ২০৪ জন।

চলতি বছর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছে ১৮ হাজার ১৯৭ জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১৭ হাজার ১৭০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ডেঙ্গুতে কোন রোগীর মৃত্যু হয়নি। তবে জুলাই থেকে রোগী বাড়তে থাকায় গত আড়াই মাসেই ৬৭ জনের প্রাণ গেল এইডিস মশাবাহিত এই রোগে।পুরো সেপ্টেম্বরে ঢাকায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত ৬ হাজার ২১৫ জন। সিটি করপোরেশনের ঢিলেঢালা এডিস নিধনের কারণে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে মনে করছেন কীটতত্ত্ববিদেরা। সমন্বয়হীনতা দূর করে আধুনিক পদ্ধতিতে এডিস নিধনে জোর দিচ্ছেন কীটতত্ত্ববিদেরা।

২০১৯ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করায় এক লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন, এ বছরই সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এই ভাইরাস জ্বরে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Releated