অভাব অনটনের মুখে পড়ে পাষণ্ড হয়ে মায়ের কাছ থেকে বাচ্চা চুরি করে বিক্রি করে দেয় বাবা!

Share the post

 চট্টগ্রাম সংবাদ: ৬ মাস হয় পৃথিবীর আলো দেখেছে শাহিন। ঘুম আর খেলাধুলায় কাটে সময়। কি ভালো আর কি মন্দ সে জানেনা। সন্তানের প্রতি বাবার খেয়াল সামান্য কম থাকলেও মায়েরটা তো বরাবরই বেশি থাকে সব সময়। খাবার-দাবার, ঘুম পাড়ানি থেকে শুরু করে ইত্যাদি সবকিছুতেই বুকের মধ্যে আগলে রাখে মা। কিন্তু রোজগার করা বাবা অভাব অনটনের মুখে পড়ে পাষণ্ড হয়ে মায়ের কাছ থেকে বাচ্চা চুরি করে বিক্রি করে দেয়। নগরীর চান্দগাঁও থানার শাপলা ক্লাব এলাকার জমিরের কোলোনীতে এ ঘটনা ঘটে।

আজ ১৩ অক্টোবর, বুধবার বিকালে চন্দনাইশ থানাধীন দোহাজারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.মঈনুর রহমান চৌধুরী।চান্দগাঁও থানা উপ পরির্দশক (এসআই) মো.কুদ্দুস বলেন, থানায় অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযানে নামে। সংসারের অভাব-অনটনের কারণে নিজের শিশুকে বিক্রি করে দিয়েছিলো বাবা। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে তোলপাড় চলছে।

এ বিষয়ে শিশুর মা সালমা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, আমার স্বামী আমাকে না বলে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেয়। বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর পেয়ে ক্রেতাকে (দোহাজারীর বাসিন্দা) বাচ্চা ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে সে উল্টো আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে আমি পুরো ঘটনা পুলিশকে জানাই।May be an image of 6 people, including MD Mainur Rahman, people standing and indoor

না খেয়ে কত দিন শিশুটি নিয়ে কেঁদেছি, আমি আমার বাচ্চাকে কখনো বিক্রি চাই না বলেন মা সালমা বেগম।উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার এলাকার বাসিন্দা তানিয়া ছেলে সন্তান প্রসব করেন। জন্মের পর অসুস্থ হওয়ায় তাকে ভর্তি করা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তানিয়ার মা রাবেয়া খাতুনকে নবজাতক নাতিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রেখে তানিয়াকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার সকালে নবজাতককে হাসপাতাল থেকে চুরি করে নিয়ে হন্তান্তর করেন ক্রেতা হারুন ও তার বোন মনোয়ারা বেগমের হাতে। ওই দিন বিকালেই তানিয়া হাসপাতালে ফিরে এসে তার সন্তানের খোঁজ করলে মা রাবেয়া বেগম অসংলগ্ন তথ্য দেন। এ ঘটনায় নবজাতক অপহরণের অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় নবজাতককেও উদ্ধার করা হয়েছিলো।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Releated